লালমনিরহাটে জিয়ারতে কা’বা হজ্ব ট্যুরস্ এন্ড ট্রাভেলস্ আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) স্থানীয় নতুন জিবন রচি (নজির) এনজিও’র হল রুমে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়ারতে কা’বা হজ্ব ট্যুরস্ এন্ড ট্রাভেলস্ স্বত্বাধিকারী কাজী আমজাদ হোসেনে সভাপতিত্তে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড লালমনিরহাট জেলা শাখার ব্যবস্ষাপক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাপ্তাহিক লালমনিরহাট বার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশক সফিকুল ইসলাম কানু, তিস্তা মোস্তাক আহমেদ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে আলোচনা সভায় জিয়ারতে কা’বা হজ্ব ট্যুরস্ এন্ড ট্রাভেলস্ স্বত্বাধিকারী কাজী আমজাদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন,
ভাষার ভিন্নতা, নতুন দেশ, নতুন পরিস্থিতির কারণে কিছুসংখ্যক হজযাত্রী সমস্যায় পড়ে থাকেন। হজ্ব সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকলে, সচেতন হলে অনেক সমস্যা দূর করা যায়।
একজন হজ্বযাত্রীর অবশ্যই মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে। কেননা হজের সফরে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। চাইলে যখন-তখন যানবাহন পাওয়া যায় না। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ওমরাহে তাওয়াফ, সাঈ, মিনা, জামারাতের পাথর মারা, মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজের তাওয়াফ, সাঈ করতে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। এসবের জন্য মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা জরুরি।
এছাড়াও হজের নিয়মকানুন অবশ্যই জানতে হবে। প্রয়োজনে বই-পুস্তক, হজ গাইড সংগ্রহ করে পড়ে ধারনা নিতে হবে। হজের কোনো বিষয়ে বিভিন্নতা দেখলে ঝগড়া করা যাবে না। আপনি যে আলেমের ইলম ও তাকওয়ার ওপর আস্থা রাখেন, তাঁর সমাধান অনুযায়ী আমল করবেন। তবে সে অনুসারে আমল করার জন্য অন্য কাউকে বাধ্য করবেন না।
মনে রাখবেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজ দুটি। একটিতে খরচ ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ টাকা। অন্যটিতে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যূনতম খরচ ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা। এর চেয়ে কম টাকায় যদি কেউ হজে যাওয়ার জন্য ঠাকা খরচ করেন তাহলে তার প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য যাঁরা আগে হজে গেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুন।
আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে সবাই এক সাথে ইফতার করেন। অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক মুসুল্লি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গণ্যমাণয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।